রুপ চর্চার দিকে খেয়াল রাখতে গিয়ে অনেকেই চুলের কথা ভুলে যাই। আর এতে অবহেলা অযত্নে চুলে খুশকি জন্মায়। যে কোন পার্টিতে খুশকি আপনাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে পারে। তাই জানতে হবে খুশকির হাত থেকে প্রিয় চুল বাঁচানোর উপায়।

কেন হয় খুশকি :

অনেকেই ভাবেন শীতকালেই চুলে খুশকি হয়। তাই খুশকি নিয়ে ও অনেকের ভাবনা শেষ নেই। এই ভাবনা একদম ঠিক নয়। শুধু শীতের রুক্ষতাই নয়, অযত্নে-অবহেলাতেও চুলে খুশকি হয়। এ ছাড়া ধুলাবালিও এর কারণ। শরীরে প্রয়োজনীয় জলের অভাব পূরন না হলেও খুশকি হয়। খুশকির আরো কারন পেট পরিস্কার না থাকা।

সতর্কতা :

  • খুশকি মুক্ত চুলের জন্য নিয়মিত পরিচর্যা প্রয়োজন।
  • চুল পরিস্কার রাখুন। একই সঙ্গে চিরুনি, ব্রাশ, তোয়ালে, বালিশের কাভার, বিছানার চাদর-এগুলো পরিস্কার রাখুন।
  • কখনোই অন্যের এ জিনিসগুলো ব্যবহার করবেন না।
  • নিজেরটাও করতে দেবেন না।
  • মাসে একবার পার্লারে গিয়ে হেয়ার ট্রিটমেন্ট করান কিংবা হেয়ার স্পা করুন।
  • দিনে আট গ্লাস জল খান।
  • এক দিন পর পর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
  • ধুলাবালি থেকে চুল বাঁচিয়ে চলুন।

যা করা উচিত :

  • এখন শীতকাল।
  • এ সময় মাথার ত্বক শুস্ক হয়ে যায়।
  • ফলে দেখা দেয় চুলের নানান সমস্যা।
  • অনেকেই ভালো করে চুল পরিস্কার করেন না।
  • যার কারনে খুশকি মাথায় জমে।
  • খুশকি দূর করতে হেয়ার ট্রিটমেন্ট করাটা জরুরি।
  • এটি আপনি বাসায় বা পার্লারে গিয়েও করতে পারেন।
  • কারণ বাড়িতে করলে অনেক ঝাক্কি-ঝামেলা থেকে রেহাই পাবেন।

ট্রিটমেন্ট করার কিছু টিপস :

১. প্রথম কুসুম গরম তেল (সেটা নারিকেলও হতে পারে) এ তুলো ডুবিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন।

২. চুলের প্রত্যেকটি গোড়ায় ভালোমতো তেল ম্যাসাজ করা হয়ে গেলে হালকা গরম জলেতোয়ালে চুবিয়ে মাথায় ১০ মিনিট গরম ভাবটা নিতে হবে। এভাবে দুইবার ভাব নেবার পর ধীরে ধীরে ভালোমতো চুল আচড়াতে হবে।

৩. গরেম ভাপের কারণে মাথার ত্বকের খুশকি নরম হয়ে যাওয়ায় খুশকি ঝরে পড়বে।

৪. এরপর ভালো মানের একটা অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু দিয়ে মাথাটা ভালো করে ধুয়ে নিন।

৫.শ্যাম্পু করার পর আপনার চুল সর্ম্পূন রুপে পরিস্কার করুন।হেয়ার ড্রায়ার ব্যাবহার না করে ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।

খুশকি থেকে রেহাই পেতে :

চুলে খুশকি পড়লে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান থেকেও সমাধান নিতে পারেন।যেমন

মেথি :

  • ২/৩ টেবিল চামচ মেথি সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন খুব ভালো ভাবে পিষে নিবেন ।
  • তার পর এর সাথে এক টেবিল চামচ টক দই ও ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে রাখুন৩০/৩৫ মিনিট ।
  • পরে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে শ্যাম্পু করুন ।
  • সপ্তাহে একবার করে করুন ।

লেবু এবং রসুন :

  • এক টেবিল চামচ লেবুর রসের সাথে দুই টেবিল চামচ রসুন পেস্ট মিশিয়ে একটি প্যাক বানান।
  • এই প্যাক ফ্লেক থেকে আমাদের দূরে রাখে।
  • রসুন প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক যা স্কাল্পের চারপাশে থাকা ব্যাকটেরিয়ার বংশ ধংস করে ।

এই অ্যান্টিডেনড্রাফ ট্রিটমেন্ট চুলে ২০-৩০ মিনিট লাগিয়ে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।

পেঁয়াজের রস :

  • আমরা সবাই জানি পেয়াজের রস চুল গজাতে সাহায্য করে।
  • এর আরেকটি গুনের দিক হল খুশকি সারাতেও কিন্তু উপকারী।
  • পেঁয়াজের পেস্ট মাথার তালুতে লাগিয়ে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করুন, পেঁয়াজের ঝাঁঝলো গন্ধ যদি আপনার জন্য অস্বস্তিকর হয় তাহয়ে কয়েক ফোটা লেবুর রসও মিশিয়ে নিতে পারেন।khuskir-somadhan খুসকির-সমাধান

যে কোন বয়সের নারী-পুরুষের জন্যই চুলে খুশকি একটি সমস্যা। খুসকি নিয়ে বিড়ম্বনার শেষ নেই। চুলের প্রতি একটু মনযোগ থাকলেই এই বিড়ম্বনা জয় করা সম্ভব। তাই বাহ্যিক সৌন্দর্য আর পোশাকের ফ্যাশনটাকে শতভাগ ফিট রাখতে চুলকেও ভালোবাসুন।

ধন্যবাদ


Comments are closed.