alu-bokharar-achar আলু-বোখারার-আচার@chuijhal.com

আলুবোখারা

 

আলুবোখারা  বাংলাদেশে  স্বল্প ব্যবহৃত একটি উচ্চমূল্যের মসলা জাতীয় ফসল । আলুবোখারা দিয়ে জ্যাম , জেলি , চাটনি , কেক , আচার প্রভৃতি তৈরি করা যায় । মধ্য ইংল্যান্ডে সিডার জাতীয় অ্যালকোহলিক বেভারেজ যা প্লাম জাবকাস নামে পরিচিত তা আলুবোখারা থেকেই প্রস্তুত করা হয় । শুকনা আলুবোখারা (যা প্রুন নামে পরিচিত) মিষ্টি , রসালো এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ । এতে খাদ্য শক্তি কম (৪৬ কি.ক্যাল.) থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপযোগী । এতে যথেষ্ট পরিমাণে পটাসিয়াম , ফ্লোরাইড ও লৌহ রয়েছে যা দেহকোষের সুরক্ষার জন্য উপযোগী । এর অন্যান্য ভিটামিনগুলো শ্বেতসার মেটাবলিজমে ও হাড়ের গঠনে ফসফরাস এবং ভিটামিনকে রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে ও বৃদ্ধদের আলঝেইমা রোগ প্রতিরোধ করে ।

alu-bokharar-achar আলু-বোখারার-আচার@chuijhal.com
উৎপাদন

 

সপ্তদশ শতাব্দীতে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে আলুবোখারার উন্নত জাতগুলো উদ্ভাবিত হয় ।   বর্তমানে বিশ্বের প্রায় শীত প্রধান ও অবউষ্ণ এলাকায় বিশেষ করে মধ্য , দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপ তারপর উত্তর আফ্রিকা , পশ্চিম এশিয়া , চীন , ভারত , উত্তর আমেরিকা , অস্ট্রেলিয়া , নিউজিল্যান্ড , দক্ষিণ আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকায় ব্যাপকভাবে আলুবোখারার আবাদ হচ্ছে । বিভিন্ন দেশে এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন- ইংরেজিতে প্লাম, গেজ, গার্ডেন প্লাম, , বাংলাদেশ ও ভারতে আলুবোখারা এসব নামে ডাকা হয়।

 

চাষ প্রক্রিয়া

 

যে জমিতে অন্য ফসল ভালো হয় না সে জমি আলুবোখারা চাষের জন্য নির্বাচন করা যেতে পারে। বাগান আকারে চাষ করতে হলে নির্বাাচিত জমি ভালো করে চাষ ও মই দিয়ে সমতল এবং আগাছামুক্ত করে দিতে হবে। পাহাড়ি এলাকা, বাড়ির আঙিনা, রাস্তার ধার বা পুকুর পাড়ে গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে জমিতে চাষ না দিয়ে শুধু পারিষ্কার করে নিলেই চলবে। সমতল ভূমিতে আলুবোখারা চারা সাধারণত বর্গাকার বা ষড়ভূজী প্রণালিতে লাগানো যায়। কিন্তু উঁচু নিচু পাহাড়ে কণ্টুর রোপণ প্রণালি অনুসরণ করতে হবে। মে থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত আলুবোখারা চারা রোপণ করা যায়। সাধারণত শীতপ্রধান ও অবউষ্ণ আবহাওয়া আলুবোখারা চাষের জন্য উপযোগী। তার ০-৭.২ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রা এর জন্য সবচেয়ে উপযোগী। অবউষ্ণ এলাকার জন্য শীতকালে শৈত্যায়ন হয়ে শীতের পর ফুল আসে এবং ফলধারণ করে। আলুবোখারা রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া ও সুনিষ্কাশিত উর্বর বেলে দো-আঁশ মাটিতে ভালো হয়। পাহাড়ের ঢালে ও পাহাড়ের উপরে ভালো বায়ু চলাচল উপযোগী ও পর্যাপ্ত সূর্যালোকে এর উৎপাদন ভালো হয়।

 

আলুবোখারার পুষ্টিগুণ

 

কাটিংকা , ফ্লাউমেন , হানিটা , আওয়াবাখার , প্রেজেন্টাসহ নানা নামে বিশ্ব জুড়ে পরিচিত ফলটিকে বাঙালিরা চেনেন আলুবোখারা হিসেবে । সারা বিশ্বে মোট দুই হাজার প্রকারের আলুবোখারা পাওয়া যায় । জুলাই থেকে অক্টোবর এই ফলের মৌসুম । ছোট , লম্বাটে ফলটিতে রয়েছে মিনারেল , ভিটামিন ও আঁশ , যা একজন সুস্থ মানুষের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন । বিশেষ করে আলুবোখারার আছে ভিটামিন এ , সি এবং ই । এতে ভিটামিন ‘বি’ যথেষ্ট পরিমাণে আছে যা নার্ভের জন্য খুবই উপকারীএটি মানসিক চাপ দূরে রাখতেও সহায়তা করে।

 

আলুবোখারার উপকারিতা

 

  • আলু বোখারার উপকারিতা প্রাকৃতিক ল্যাক্সোটিভ গুণাগুণ সম্পন্ন যা সারা বিশ্ব জুড়ে  বয়স্ক মানুষের কাছে সমাদৃত । তাজা বা শুকনো যে কোনো ভাবেই এটি খাওয়া হোক না কেন এই ফলটি তারুণ্য ধরে রাখার অন্যতম একটি খাবার ।
  • আলু বোখারা নার্ভের জন্য খুবই উপকারী । এটি মানসিক চাপ দূরে রাখতেও সহায়তা করে।
  • গড়ে ১০০ গ্রাম আলুবোখারায় রয়েছে মাত্র ৫০ গ্রাম ক্যালরি, যা ফিগার সচেতনদের জন্যও উপযুক্ত।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আলু বোখারার জুড়ি নেই।
  • আলু বোখারা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
  • আলু বোখারা সহজে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
  • আলু বোখারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।

ওজন কমানো এবং তা ধরে রাখা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। গবেষণায় দেখা গেছে মানুষ কষ্ট করে ওজন কমানোর পর শিগগিরই তা ফিরে পায়। তবে খাবারের তালিকায় আলু বেখারা যুক্ত হলে মানুষের স্থুলতা শুধু কমবেই না তা ধরে রাখতেও সহায়ক হবে।

alu-bokharaআলু-বোখারা
আলুবোখারার আচার
উপাদান

পাকা আলুবোখারা , চিনি, সিরকা ,তেতুল , গরম মশলা গুড়া , পাঁচফোড়ন গুড়া ।

 

আচারের উপকারিতা

 

আলু বোখারার আচার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। আলু বোখারার আচার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে । এটি সহজে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না ও  শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ।

 

কোথায় পাওয়া যাবে

 

আলু বোখারার এই মজাদার আচার টি পেতে কল করুন-

০১৭১১৩০৫৮৮৯ অথবা ভিসিট করুন-

https://chuijhal.com/product/test-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%81-%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A7%AB%E0%A7%A6%E0%A7%A6-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF/

 

 


Comments are closed.